কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি, হুমকিতে পরিবেশ
Share on:
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে অবৈধভাবে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কিশোরগাড়ীর দিঘলকান্দী গ্রামের গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ সময় দেখা যায়, কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রায় ২২ শতক জায়গাজুড়ে কয়লা কারখানাটি গড়ে তুলেছেন আব্দুল মান্নান। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে কারখানায় তৈরি করছেন কয়লা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার জনপদ।
জানা যায়, তিন ফসলি জমিতে এ কারখানা গড়ে তোলায় কালো ধোঁয়া পরিবেশ ও ফসলের ক্ষতি করছে। ইট দিয়ে চুল্লি বানিয়ে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। চুল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুঁড়ি ও শুকনা কাঠ-লাকড়ি। মোট আটটি চুল্লির মধ্যে দুটি চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। চারপাশে বিভিন্ন আকারের গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে। এক পাশে চুল্লির মুখ খোলা। সেদিক দিয়ে গাছের গুঁড়ি, লাকড়ি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, দিঘলকান্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। ৩ মাস ধরে এখানে গাছের গুঁড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। কারখানায় রয়েছে আটটি চুল্লি।
কারখানার মালিকরা বলেন, এক মণ খড়ি পুড়িয়ে পাঁচ-ছয় কেজি কয়লা পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ১৮০ মণ কয়লা বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি দফায় ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়।
পোড়ানো কয়লা ঠান্ডা করে ব্যবসার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি মণ লাকড়ি ১৪০ টাকায় কিনে প্রতি মণ কয়লা ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।তাঁদের কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেই তবে পরিবেশের ছাড়পত্র ও প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করবেন।
স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, ধানগাছ যখন বড় হচ্ছছিল। এর মধ্যে কয়লা তৈরির কারখানার কালো ধোঁয়ায় গাছ চিটচিটে হয়ে গেছে।এ অবস্থায় ফলন ঠিকমতো পাবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান টাইম নিউজকে বলেন, কাঠ দিয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । ওই সব কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএইচ