উগ্রবাদীদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে : ড.মাসুদ
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বাংলাদেশের নানা সংস্কার করার এই সময়ে প্রিয় রাসূল (সা) এর জীবনী সবার আগে অনুস্মরণ করা মুসলিম দেশ হিসেবে অত্যাবশ্যকীয়। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে উগ্রবাদীতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করতে চাই। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে রুখে দিতে হবে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমাবার সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার হল পরিদর্শনে রাজধনীর পুরানা পল্টন কলেজে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।
ড.মাসুদ বলেন, তাদের মূল টার্গেট ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে পুনর্বসান করা। এজন্যই দেশের জনগণ মনে করে পাশ্ববর্তী একটি দেশে বসে তিনি বাংলাদেশে নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। জনগণ জানে তাদের জ্ঞানের সামান্যতম চর্চা নেই। এখনো তারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীল করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আমরা দেখেছি বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। আজকে রিকশা শ্রমিক লীগ নামে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস শ্রমিক বিদ্রোহ, ইত্যাদি নামে বিদ্রোহের মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা। এদিকে হাতে তরবারী নিয়ে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করছে একদল উগ্রবাদী অথচ তারা গরু হত্যাকে মহা পাপ বলেন কিভাবে! জনগণ মনে করে হাসিনার নির্দেশেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ইসকন নিষিদ্ধ করুন এবং অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যায় জড়িত সবার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের কাছে ড.মাসুদ ৩টি দাবি জানিয়ে বলেন, ১. প্রিয় নবী সা. এর সিরাত পাঠ করেই জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। কোনো কথিত জাতির পিতাকে আর দেশের জনগণ পড়তে চাই না। এজন্য জাতীয় জীবনে রাসূল (সা) এর সিরাত চর্চা করতে হবে। ২. শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের কাজে সরকার যেন আমাদের এই সিরাত পাঠ পরীক্ষা দেখে দেশের ১৮ কোটি মানুষের নৈতিকতার মান উন্নতিতে রাসূল (সা) এবং কুরআন সুন্নাহর প্রকৃত শিক্ষা প্রণয়ন করেন। ৩. জাতিকে সাঁজাতে একটি ঐক্যবদ্ধ সহনশীলতার মূলনীতি প্রণয়ন করতে হবে। প্রিয় রাসূল (সা) সোনার মদিনা রাষ্ট্রে যা প্রতিফলিত হয়েছিল।
সিরাতুন্নবী (সা) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অর্ধ লক্ষাধিক কর্মী-সহযোগী জনশক্তি অংশগ্রহণ করে।
সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার হল পরিদর্শনে পুরানা পল্টন কলেজে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানা আমির শাহীন আহমেদ খান, মহানগরী মজলিসের শূরা সদস্য ও পল্টন উত্তর থানা আমির মুজিবুর রহমান, মহানগরী মজলিসের শূরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, এনামুল হকসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
ড. মাসুদ বরেন, জামায়াতে ইসলামী তার কর্মী, সহযোগী, রুকনদের জ্ঞানের পরিসি বৃদ্ধিতে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জামায়াতের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকেও পড়াশোনা করে অগ্রসর হতে হয়। আমরা দেখেছি বাংলাদেশে নৈতিকতার শিক্ষাকে স্ব-মূলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। আজকে আমাদের এখানে যারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন প্রত্যেকে সবার নিজ নিজ অবস্থানে অত্যন্ত সচেতন ব্যক্তি। তারা কখনোই পরীক্ষক বা অন্য কাউকে ভয় পায় না বরং তারা মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে ভয় করেন।
পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্থিতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাসূল (সা)-এর জীবন আদর্শ অনুসরণই মুক্তির একমাত্র পথ। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) জীবনী যত জানা যাবে ততো মানা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ অন্যান্য বছরের মতো এবছরও আয়োজন করেছে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা। আমরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে জামায়াতের জনশক্তিদের পাশাপাশি সংগঠনের সুধী, শুভাকাঙ্খি, সহযোগী ও কর্মী, রুকন, দায়িত্বশীল সকলের জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি