tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৩ এএম

আমরা ঋণখেলাপি নই : প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী১১১১

বাংলাদেশ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ঋণ নিলেও তা সময় মতো পরিশোধ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় আমাদের একটা হিসাব থাকে, আমরা কিন্তু ঋণখেলাপি না। আমরা যেখান থেকে যত ঋণ নিয়েছি, প্রত্যেকটা ঋণ সময় মতো পরিশোধ করেছি।


সোমবার (১১ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম কথা লিখছে। আমি আবারও বলছি, ওই পত্রিকার লেখা পড়ে আমি রাষ্ট্র চালাই না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে এমন একটা কথা রটাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যেখান থেকে যত ঋণ নিয়েছি, প্রত্যেকটা ঋণ সময় মতো পরিশোধ করেছি। যত রকমের দুর্দশা হোক, এমনকি এই করোনার মাঝেও ঋণখেলাপি হয়নি। যার কাছে যত ঋণ নিয়েছি, সেটা সময় মতো পরিশোধ করতে পেরেছি। এটা করে গেছি। সেদিক থেকে আমাদের রেকর্ড সব থেকে ভালো।

বিনিয়োগের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগগুলো নেওয়ার সময়ও আমাদের সেই হিসাবটা করতে হবে। তার রিটার্ন কী হবে এবং আমাদের লাভটা কী হবে। সেই বিনিয়োগটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য যে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশ লাভজনক হবে। দেশের কতটুকু উন্নতি হবে, মানুষের ভাগ্য কতটুকু পরিবর্তন হবে, আমাদের সেই চিন্তাটা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য সবাই ঝাঁপ দিয়ে আসছে। আমাদের খুব হিসাব করে পা ফেলতে হবে। আমরা যদি সতর্ক থাকি, তাহলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। এটা আমার বিশ্বাস।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটো পার্টিই (বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি) হচ্ছে একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে গড়া।

তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কটা তাদের মাঝে নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা আমাদের শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। তাদের অবস্থানটা মানুষের কাছে নেই। কারণ, তারা তো এসেছেই একটা ভাসমান অবস্থায়। আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্র্যাসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্র্যাসি, ইলেকশন, হেনতেন; কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কি। সেটাও তারা চিন্তা করে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে অনেক দল দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বে দেখলে আপনারা দেখবেন সেখানে কিন্তু মাত্র দুই দল হয়ে গেছে এখন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই দলের বেশি শক্তিশালী দল নেই। আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ সংগঠন ইলেকশনই করে না। ইলেকশন করার বিষয়ে একটা অনীহা চলে আসে মানুষের। এটাও কিন্তু অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশটা ধীরে ধীরে ওরকম হয়ে যাচ্ছে।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই এ মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

এইচএন