যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম পরিবর্তন হচ্ছে
Share on:
যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নতুন নামে আগামী বছরের (২০২৫) জানুয়ারিতে এ সেতু উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে নবনির্মিত রেল সেতুর নাম কি দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ইতোমধ্যে রেল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, শোনা যাচ্ছে উদ্বোধনের আগেই রেল সেতুর নাম পরিবর্তন করা হবে। তবে নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এই সেতুর কাজ আগামী ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এরপর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এটি চালু হতে পারে। যমুনা সেতুর ৩০ মিটার দূরত্ব রেখে নতুন রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালে চালু হওয়া যমুনা সেতুতেও পরে রেলপথ যুক্ত করা হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুর কাঠামোগত সমস্যা দেখা দেওয়ায়– ট্রেনের গতি বেশ কম রাখতে হয়। আবার যমুনা সেতুর পূর্ব স্টেশন থেকে ট্রেন সেতুতে প্রবেশ করলে, পশ্চিম স্টেশন প্রান্তে অন্য ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে ২০ কিলোমিটার গতিসীমা নিয়ে গড়ে ৩৮টি ট্রেন যমুনা সেতু পাড়ি দেয়।
আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। আর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই সেতু রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে চাই। ডিজিটাল কম্পিউটার-বেজড সিগন্যাল ইনস্টল করতে এপ্রিল পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে এই বিলম্বের কারণে রেল চলাচলে সমস্যা হবে না, কারণ সাময়িকভাবে এনালগ সিগন্যাল ব্যবহার করা যাবে।
রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম এখনও পরিবর্তন হয়নি। তবে উচ্চ পর্যায়ে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেতুর উদ্বোধনের আগে হয়তো রেল সেতুর নাম পরিবর্তন হতে পারে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই এটির উদ্বোধন করা হবে।
এফএইচ