বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যে কাজের জন্য পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) সঙ্গে রাখতে হবে। আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকায় প্রবেশ করা যাবে না।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যে কাজের জন্য পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) সঙ্গে রাখতে হবে। আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকায় প্রবেশ করা যাবে না।
শনিবার (০২ মে) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিককে কারখানার কাজের জন্য ঢাকায় আসার প্রয়োজন হলে তাকে অবশ্যই ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় ঢাকায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেই ঢাকা ও এর আশপাশের পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করে ইতিমধ্যেই ঢাকায় এসেছেন অনেক পোশাক শ্রমিক। মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও চাকরি হারানোর ভয় ও জীবিকার তাগিদে হেঁটেই এসব শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরছেন।
পোশাক কারখানার মালিকরা বলছেন, তারা এই লকডাউনের মধ্যে বাইরের শ্রমিকদের ঢাকায় না আসতে নিরুৎসাহিত করছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। শ্রমিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করে বলছেন, তাদেরকে মালিকপক্ষ থেকে ফোন করে কারখানায় আসতে বলা হচ্ছে।
এদিকে, শনিবার (০২ মে) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ১৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৭টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৬টি।
নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৭৯০ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। পাঁচজনই ঢাকার বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন।
এমবি