প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেই সীমিত আকারে গামেন্টস চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কর্মস্থলে যেতে আজও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষের।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেই সীমিত আকারে গামেন্টস চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কর্মস্থলে যেতে আজও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষের।
গত কয়েকদিনের মতো আজ (৩০ এপ্রিল) বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ভিড়। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিজেদের কর্মস্থলে যেতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেশি ভাড়া দিয়েই বিভিন্ন ধরনের ছোট-ছোট যানবাহনে করে তারা গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করছেন।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: আক্কাস জানান, অনেক মানুষ মানুষ সকাল থেকে ফেরি পার হয়েছেন। ফেরিতে করে তাদের নদী পার হতে দেখা গেছে। তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ বলেন, “এ রুটে এখন ৬টি ফেরি চলছে। তবে ফেরিতে খুব বেশি মানুষ পার হচ্ছেন না।”
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন জানান, “গণপরিবহন না থাকায় শ্রমজীবী মানুষের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে। তারা মিশুক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছেন। তবে এসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে পারে না। অনেক পথ ঘুরে তারা ঢাকার কাছাকাছি যায়। সেখান থেকে বাহন পাল্টে তারা তাদের গন্তব্যে রওনা দেন।”
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, “সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমতে থাকে। সকাল থেকে এ পর্যন্ত সাতটি ফেরি কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়েছে। সেখানে প্রতি ফেরিতে আনুমানিক প্রায় আড়াইশ' শ্রমজীবী মানুষ পার হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে, তারা সবাই গার্মেন্টসকর্মী।”
এমবি