ইউক্রেনের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতারা যে চুক্তি করেছে তাতে সমর্থন জানায়নি বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। তারা হুমকি দিয়ে বলেছে যে কিয়েভে শনিবার সকালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করলে তারা সরকারি স্থাপনাগুলোও দখল করে নেবে।
ইউক্রেনের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতারা যে চুক্তি করেছে তাতে সমর্থন জানায়নি বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ । তারা হুমকি দিয়ে বলেছে যে কিয়েভে শনিবার সকালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করলে তারা সরকারি স্থাপনাগুলোও দখল করে নেবে। [img]http://www.timenewsbd.com/contents/public/201402/1393039374.jpg[/img] যদিও বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ চু্ক্তিটিতে সমর্থন জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক নেতারাও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোড় দিতে বলেছে। আর রাশিয়া বলেছে সংকট সমাধানের প্রক্রিয়াতেও তারাও অংশ নিতে চায়। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ও বিরোধী নেতাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরেরে পর বিরোধী নেতারা যখন ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে এসে চুক্তিপত্র তুলের ধরেন বিক্ষোভকারীদের অনেকেই তখন উল্লাসে চিৎকার করছিলেন। বিরোধী নেতা ভিতালি ক্লিসকো যিনি হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছিলেন এবং অন্যান্য নেতারা যখন স্কয়ারের সামনে আসেন তখন অনেক বিক্ষোভকারীদের দেখা যায় তাদের ধিক্কার দিতে। [img]http://www.timenewsbd.com/contents/public/201402/1393039614.jpg[/img] ক্লিসকো জনতার উদ্দেশ্যে যখন কিছু বলার চেষ্টা করছেন তখন তারা এভাবেই স্লোগান দিতে থাকে। কিন্তু অন্যদিকে অনেক বিক্ষোভকারী সরকার ও বিরোধীদের এই নতুন চুক্তিকে তাদের জয় হিসেবেই দেখছে। নতুন এই চুক্তিতে বলা হয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে আগাম নির্বাচনের ডাক দিবেন প্রেসিডেন্ট একই সাথে দুদিনের মধ্যে অর্ন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইয়ানুকোভিচ। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করে ক্ষমতা সংসদের কাছে বন্টন করতে ২০০৪-এর সংবিধানে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করবেন প্রেসিডেন্ট। বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন এই চুক্তির ফলে দেশটির সাবেক বিরোধী নেত্রী ইউলিয়া তিমোশেঙ্কোও জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন। দেশটির বিরোধী ফাদারল্যান্ড পার্টির নেতা আর্সেনি ইয়াতসেনুক বলছেন, নতুন এই চুক্তিটির ফলে তার ব্যক্তিগত একটি ইচ্ছাও পূরণ হলো। "২০০৪ সালের সংবিধানে ফেরার যে সিদ্ধান্তটি হলো তার থেকেও যে সিদ্ধান্তটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো ইউলিয়া তিমোশেঙ্কোর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি"। অনেক বিক্ষোভকারীর কাছে শুক্রবারের ওই চুক্তিটি গ্রহণযোগ্য ছিল। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইউক্রেনের চলমান সহিংসতা থামাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে জোড় দিতে বলেছেন । আর রাশিয়া বলেছে তারা সংকট উত্তরনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের একাংশ বলছে শনিবার সকালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করলে তারা শহরটির বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা দখল করে নেবে। সূত্র: বিবিসি [b]ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি (টাইমনিউজবিডিডটকম) // ইএইচ [/b]