কসোভো ইউরোপীয় কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষনা দিয়েছেন।
একটি ভিডিও বার্তায় দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, ডনিকা গেরভাল্লা বলেন, ‘আজ, এটি আমাদের অনুরোধের প্রাথমিক ধারা, যা ইউরোপীয় কাউন্সিলের সংসদীয় অ্যাসেম্বলি এবং মন্ত্রী পরিষদের বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে শুরু হবে।’
গেরভাল্লা বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কসোভোর নাগরিকদের অধিকার আরো জোরদার হবে।
‘এই অঞ্চলের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক, ইউরোপ-পন্থী এবং একটি আশাবাদী দেশ কসোভা, তাই কসোভা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউরোপীয় কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার যোগ্য’, তিনি জোর দিয়ে বলেন।
এর আগে কাউন্সিলে যোগদানের উদ্যোগকে অনুমোদন করেছিল কসোভো সরকার এবং এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কসোভো ওয়াশিংটন চুক্তি, ব্রাসেলস চুক্তি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব-১২৪৪ লঙ্ঘন করেছে।
ভুসিক আরও বলেন, এই আবেদনের পিছনে প্রধান পশ্চিমা দেশগুলির হাত রয়েছে আর সার্বিয়া এটি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে যা লাগে সব করবে।
ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়াকে সংস্থা থেকে বাদ দেওয়ায় কসোভোর এই আবেদন ইউরোপীয় কাউন্সিলে সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পশ্চিম বলকান এই রাষ্ট্রের প্রতি সংস্থার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে, যাদের সবাই রাশিয়ার অনুপস্থিতিতে কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসোভো, এই দেশটি মূলত আলবেনিয়ার দ্বারা অধ্যুষিত ছিল। ১৯৯৯ সালে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সার্বিয়া এখনো দেশটিকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং এই অঞ্চলের দাবি করে আসছে। আর কসোভোর লক্ষ্য ইইউ’র পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এমআর