ইউরোপের মুসলিম দেশ কসোভোর ষষ্ঠ স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে গতকাল সোমবার। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কসোভো। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১০৬টি দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কসোভোকে।
ইউরোপের মুসলিম দেশ কসোভোর ষষ্ঠ স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে গতকাল সোমবার। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কসোভো। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১০৬টি দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কসোভোকে। তবে, স্বাধীনতার ছয় বছর পূরণ হলেও এখনো পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি দেশটি। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক কোন খেলাধূলার টুর্নামেন্টেও অংশ নিতে পারছে না কসোভো। কসোভোই হচ্ছে ইউরোপের একমাত্র দেশ যে দেশের নাগরিকদের পুরো ইউরোপে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার নেই। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত কসোভো সাবেক যুগোশ্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দেশ সার্বিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিল। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষই জাতিগতভাবে আলবেনীয়। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী আলবেনিয়া হচ্ছে ইউরোপের প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাধীন দেশ। দেশটির উত্তরাঞ্চলে অল্পসংখ্যক সার্ব জাতির লোক বাস করে। তারা সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী মিট্রোভিকা নামক অঞ্চলে বাস করে। মিট্রোভিকা অঞ্চলটির মালিকানা নিয়ে সার্বিয়ার সাথে মতবিরোধ রয়েছে। মিট্রোভিকার সার্ব জাতির লোকজন দেশের নির্বাচনে অংশ নিলেও কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে যারা কসোভোর সরকারকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তবে, ন্যাটো বাহিনীর সেনা মোতায়েন রয়েছে দেশটিতে শান্তি বজায় রাখার জন্য। দেশটির প্রধান সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কসোভোর প্রায় অর্ধেকই বেকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে। সূত্র: ওয়ার্ল্ডবুলেটিন [b]ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি (টাইমনিউজবিডি.কম)//এমএ [/b]