ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এসময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশ।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন কিছু মানুষ। তারা গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের ইভ্যালির গ্রাহক হিসেবে দাবি করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী ইভ্যালি’র চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীনের রিমান্ড শুনানি শেষে এই বিক্ষোভ হয়।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ বিকেলে মো: রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
শুনানি শেষে রাসেল এবং শামীমা নাসরীনকে আদালত চত্বর থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রায় অর্ধশত যুবক একত্রিত হয়ে গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, রাসেল ভাইয়ের মুক্তি চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি ও বাকবিতণ্ডা তৈরি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে একজনকে আটক করে।
তখন আটক ব্যক্তি পুলিশকে বলতে শুরু করেন, “আমি গরিব মানুষ স্যার, আমার অনেক টাকার পণ্য ইভ্যালিতে আটকা। বিশ্বাস না করলে আমার মোবাইলে দেখেন। আমার বউ-বাচ্চা না খেয়ে আছে, আমাকে ছেড়ে দেন, আমাকে মাফ করে দেন স্যার।”
বিক্ষোভকারী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মো: রাসেল যদি ছাড়া পান তাহলে তাদের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এ চিন্তা থেকেই মূলত তারা বিক্ষোভ করছেন এবং রাসেল-শামীমার মুক্তি দাবি করছেন। আর রাসেল যদি কারাগারে থাকেন, তাহলে তাদের টাকা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও থাকবে না।
বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, হলমার্ক, ডেসটিনিসহ সম্প্রতি ই-অরেঞ্জের ঘটনায় কেউই টাকা পাননি। তারা চান না, ইভ্যালির ক্ষেত্রেও এ ধরনের কোনো কিছু ঘটুক। অনেকেই অনেক পণ্য পেয়েছেন ইভ্যালি থেকে। তাই, এখানে এসে রাসেলের মুক্তি চেয়ে দাঁড়িয়েছেন।
ইভ্যালি’র চেয়ারম্যান-এমডি ৩ দিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা এক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশার থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
এমবি