পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) অনিয়ম ও দুর্নীতির উদাহরণ দিতে গিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেছেন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহা কোনো বোর্ড মিটিং করতেন না। অনিয়মকে বৈধ করতে এক সঙ্গে তিন বছরের বাজেট পাশ করেছিলেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পিডিবিএফের কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) অনিয়ম ও দুর্নীতির উদাহরণ দিতে গিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেছেন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহা কোনো বোর্ড মিটিং করতেন না। অনিয়মকে বৈধ করতে এক সঙ্গে তিন বছরের বাজেট পাশ করেছিলেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পিডিবিএফের কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
সমবায় সচিব বলেন, মদন মোহন দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের সিদ্ধান্ত কমিশন খেয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রেখেছিল। এখন তারা সেই অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এর মধ্যে পিডিবিএফে কর্মরতদের ২৬ কোটি টাকা রয়েছে। এই টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে লোপাট করেছেন তিনি। এতে তাকে সহায়তা করেছে কয়েকজ অসাধু কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে তার অনিয়মের বিষয়ে অনেকে বললে আমি তদন্ত কমিটি করি। কিন্ত তিনি এতে সহায়তা করেননি। এর পরেও দুর্নীতির প্রমাণ মিলে। আমার ধারণা তদন্ত প্রতিবেদনে যতটুকু দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তা আরও বেশি। আমি মদনকে বোর্ড মিটিংয়ে ডেকেছিলাম। কিন্তু তিনি না এসে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করলো। আমি নিজে কাউকে শাস্তি দিতে রাজি না। আমি বিষয়টি দুদক ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তারাই এই বিষয়ে ব্যস্থা নিবেন।
কামাল উদ্দিন তালুকদার আরও বলেন, পূর্বের সব ভাউচার মিলিয়ে দেখতে হবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড সভা করে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা আইনে দুর্বলতা রয়েছে- এটা পরিবর্তন করা ও এমডিকে দেওয়া বিশেষ ক্ষমতা সংশোধন করা হবে। সকল স্তরে জরবল বাড়াতে হবে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির নাম পিডিবিএফের পরিবর্তে ‘শেখ হাসিনা গ্রামীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’অথবা ‘ভিলেজ লেভেল ইকোনমি ফাউন্ডেশন’রাখার প্রস্তাব করেন।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতিমুক্ত করা। সাবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এজন্য ইতোমধ্যে সকলকে নিয়ে একটি নতুন প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। আমরা সকলে মিলে দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো।
তুহিন/এমবি