মঙ্গলবার ২১, মার্চ ২০২৩
EN

এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে নৌকার এজেন্ট গ্রেফতার

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর এজেন্টরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করছেন। বুথে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে নৌকার ৩ এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর এজেন্টরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করছেন। বুথে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে নৌকার ৩ এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।

একমাত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাকের হায়দার সুমন অভিযোগ করে বলেন, ভোট নেওয়া ১৩টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। আমার ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না।

সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করছি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোন প্রভাব বিস্তার করছেন না। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।

পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, সকাল ৯টার দিকে ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে জোর করে অন্যের ভোট দেয়ার অভিযোগে নৌকার এজেন্ট শাহাদাত হোসেন শিপনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এছাড়া আরও দুটি কেন্দ্রে দুইজনসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আজ মঙ্গলবার ( ২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম মেশিন) একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।

এ পৌরসভায় নারী ও পুরুষ মিলে মোট ৩৫ হাজার ৬৫৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জসিম উদ্দিন বলেন, পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কম্পিউটার প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও সাংবাদিক নুর মো. জাকের হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের মোট ১৩ কেন্দ্রের সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করায় নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব বিজিবি ও আনসারসহ ৪ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।

কেন্দ্রের বাইরে স্টাইকিং ফোর্স সহ ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দুই জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে চার জন, ২নং ওয়ার্ডে তিন জন, ৩নং ওয়ার্ডে চার জন, ৪নং ওয়ার্ডে তিন জন, ৫নং ওয়ার্ডে ছয় জন, ৬নং ওয়ার্ডে আট জন, ৭নং ওয়ার্ডে পাঁচ জন, ৮নং ওয়ার্ডে চার জন এবং ৯নং ওয়ার্ডে চার জন।

১নং (১.২.৩) সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে চার জন, ২নং (৪,৫,৬) সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে তিন জন, ৩নং (৭,৮,৯) সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এইচএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *