শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ভরসা ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮০ রান তাড়া করতে নেমেও ১৩ রানে হেরে যায় তারা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলংকা ২৮৯ রান
শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ভরসা ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮০ রান তাড়া করতে নেমেও ১৩ রানে হেরে যায় তারা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলংকা ২৮৯ রান করায় জয়ের আশাটা ক্ষীণ হয়ে যায়। হতাশাটা দানা বাধে ওপেনিং ওভারেই উইকেট হারালে। পরে খেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে এড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারের সঙ্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজও হেরেছে স্বাগতিকরা। বৃহস্পিতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মুশফিকরা। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করতে পারে তারা। ফলে ৬১ রানে হেরে যায় তারা। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগে ব্যাট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন উদ্বোধনী জুটির শামসুর রহমান। দ্বিতীয় জুটিতে ৫৫ রান করলে আশার আলো সঞ্চার হয় বাংলাদেশের সমর্থকদের। কিন্তু ১৫ রান করা মুমিনুল হকের পর এনামুল হকও (৪২) আউট হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে হতাশ হতে হয় তাদের। এরপর মুশফিক ও সাকিব ৫০-ঊর্ধ্বো জুটি গড়েন। তবে ২৪ রান করা সাবিক আউট হলে ইতি টানে তাদের ৫৩ রানের জুটি। ২২ গজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রানের চাকা সচল রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। মালিঙ্গার বলে সাচিত্রার হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৭৯ রান করেছেন তিনি। ৮৩ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় এই স্কোর করেন তিনি। লংকান বোলার মালিঙ্গা, থিসারা, সাচিত্রা ও মেন্ডিস প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট পান। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। দলের পক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা ১২৮ রান করেছেন।