শনিবার ১০, জুন ২০২৩
EN

ওয়ালটন কারখানায় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট

‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট (সম্মেলন)-২০২১’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট (সম্মেলন)-২০২১’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। 

উদ্দেশ্য— দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অভাবনীয় অগ্রগতি, পণ্য উৎপাদনে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণাকর্ম আর উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রদর্শন ও এ সংক্রান্ত জ্ঞানের বিনিময় (নলেজ শেয়ারিং)।

দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দেবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরগণ। অংশ নেবেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।

আগামী মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হবে ওই সামিট।

জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সামিটে যুক্ত হবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। দিনব্যাপী ওই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক কায়কোবাদ। সামিটে বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রায় ওয়ালটনের অবদান নিয়েও থাকবে বিশেষ আলোকপাত।

সামিটের দিন সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর ওয়ালটনের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ব্রোসিউর’ উম্মোচন করা হবে। অতিথিরা পর্যায়ক্রমে ওয়ালটনের প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য আলাদাভাবে সাজানো ‘রিসার্চ অ‌্যান্ড ইনোভেশন’ বুথগুলো ঘুরে দেখবেন। বুথ পরিদর্শনকালে অতিথিদের কারখানায় দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, গবেষণা এবং ওয়ালটনের উদ্ভাবনী কার্যক্রমসমূহ ব্যাখ্যা করবেন প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আরঅ‌্যান্ডডি প্রকৌশলীরা। সবশেষে থাকছে আলোচনা পর্ব।

সম্মেলনে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ নির্ধারণ করেছেন ‘ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০’। সামিটে ভিশন-গো গ্লোবাল বাস্তবায়নের রোড-ম্যাপ এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বিস্তারিত তুলে ধরবে ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের আরঅ‌্যান্ডডি টিম। ২০৩০ সালের টার্গেট পূরণে রিসার্চ অ‌্যান্ড ইনোভেশনের অবজেকটিভগুলো কমিটমেন্ট আকারে পেশ করা হবে এদিন।

উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন সারা বিশ্বে একটি প্রশংসিত নাম। পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রায় এক হাজার একরেরও বেশি জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক কারখানা। এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্ল্যায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে তুলেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে ওয়ালটন।

এবিএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *