বাজার মনিটরিং বন্ধ হওয়ায় আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা।
কোনোভাবেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নানামুখী উদ্যোগের পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সরবরাহ বাড়ানো ছাড়া দাম কমানোর বিকল্প দেখছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রির একমাত্র প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আইনি জটিলতার কারণে কোনও পণ্য আমদানি করতে পারে না।
বাজার মনিটরিং বন্ধ হওয়ায় আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। এতে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। সরবরাহ কম থাকার অজুহাত বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এর প্রভাবে দাম ঠেকে কেজিতে একশোতে।
এরপরই বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম নেমে আসে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কিন্তু অভিযান প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারো ঊর্ধ্বমুখী দাম।
রোববার বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে। যদিও দু’দিন আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। একইভাবে পাইকারি বাজারেও কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমার আশা জানান পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মোল্লা।
পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে সিলেটের বাজারেও। রোববার পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ ও ৯৫ টাকায়। অথচ দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
একই চিত্র রংপুরেও। গত তিনদিনে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে পেঁয়াজের কেজি পাইকারি বাজারে ৯০ টাকা। খুচরা বাজারে ঠেকেছে একশোতে। আর পাড়া-মহল্লার মুদির দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আরও বেশিতে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছে মাফিক দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
এএস