পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর হঠাৎ বেড়ে যাওয়া দামেই শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে। দুই-একটি সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশির ভাগেরই দাম কমেনি। ফলে সবজির বাজারে আসলে হিসেবে মেলে না অনেক ক্রেতারই।
শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাড়তি দামে সবজি বিক্রির চিত্র।
দেখা যায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকড়ল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে আসা এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, বাজারে বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। যেটারই দাম করা হচ্ছে তার দামই ৬০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি। প্রতিটি সবজির এতো দাম হলে আমরা সাধারণ মানুষ কিনতে পারবো না।
সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, মূলত শীতের সময় সবজির দাম কম থাকে, অন্য সময় একটু বেশি থাকে। তবে এবার একটু বেশি বাড়তি দাম যাচ্ছে সবজির।
গুলশানের লেকপাড় বাজারে সবজি বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, আমরা যে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছি এমনটা নয়। পাইকারি বাজারেই সব ধরনের সবজির বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যারা যেমন মানের জিনিস পাল্লা ধরে কিনে আনে তারা তেমন দামে বিক্রি করেন।
এন