পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের রায়ের কপি বাংলাদেশে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের রায়ের কপি বাংলাদেশে এসেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কুয়েত সরকার থেকে আমরা পাপুলের রায়ের কপি পেয়েছি। এটা ৬১ পৃষ্ঠার রায়। এই রায়ের কপি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদকে দিয়েছি।”
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, “পাপুলের বিরুদ্ধে এখন কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটা পার্লামেন্ট ঠিক করবে।”
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল (৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওথমান পাপুলের সঙ্গে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জারাহকেও ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করেন।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছর ৬ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। তিনি তারপর থেকেই সে দেশের কারাগারে আটক ছিলেন। ৬ মাস বিচার প্রক্রিয়া শেষে তাকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
এমবি