তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বিজিএমইএ’ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বিজিএমইএ’ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
বিজিএমইএর সচিব মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ বলেছে, সংগঠনের সদস্য কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। কারখানা চালু করার আগে নিজেদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে হবে। যদি সার্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তাহলে সঠিক সময়ে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। এই মুহুর্তে বিজিএমইএর প্রথম ও একমাত্র অগ্রাধিকার হচ্ছে, শ্রমিক ভাই-বোনদের স্বাস্থ্য ও নিরপাত্তা নিশ্চিত করা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের কারখানা ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। সেই অনুরোধ মেনে অনেক সদস্য কারখানা বন্ধ রাখে। তবে অনেকে আবার উৎপাদন চালু রাখে। গত ০৫ এপ্রিল বন্ধ কারখানা চালু হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকেরা শিল্পাঞ্চলে ফিরতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
পরে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ০৬ এপ্রিল বৈঠক করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথভাবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। পরে সরকারি ছুটি বৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারখানা বন্ধের সময়সীমা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
এমবি