দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুনানি শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুনানি শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজহারুল হক আকন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করছেন। আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ১২ মে আইনজীবী আসাদুজ্জামান খালেদা জিয়ার পক্ষে ঐ রিটটি দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, খালেদা জিয়ার দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দানকারী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের কোনো গেজেট প্রকাশিত হয়নি। বিধি অনুযায়ী বিশেষ জজ আদালতের নিয়োগে গেজেট প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ফলে ঐ বিচারকের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ। যে কারণে ঐ বিচারকের দেয়া আদেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার ঐ মামলার বিচারের কাজ চলতে পারে না। এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন অবৈধ। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলাটি করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দুটি মামলারই বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী,তৎকালীন একান্ত সচিব ও বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক। অন্যরা সবাই জামিনে রয়েছেন। [b]ঢাকা,কেএ ১৯ মে (টাইম নিউজবিডি.কম)/[/b]