রবিবার ১১, জুন ২০২৩
EN

গাইবান্ধায় হত্যার ৯ বছর পর গৃহবধূ উদ্ধার!

কথিত হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনা প্রচার করে আত্মগোপনে থাকা রৌশন আরা বেগম রিক্তা নামে এক গৃহবধূকে ৯ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

কথিত হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনা প্রচার করে আত্মগোপনে থাকা রৌশন আরা বেগম রিক্তা নামে এক গৃহবধূকে ৯ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রংপুর জেলার কামালকাছনা শালবন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার রৌশন আরা বেগম রিক্তার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিক্তার ওপর অত্যাচার করতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ অবস্থায় ২০১১ সালের ২২ জুলাই নিখোঁজ হন রিক্তা।

এ ঘটনায় রিক্তার স্বামী ও তার সহযোগীরা রিক্তাতে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন রিক্তার বড় বোন মোছা. মুক্তা বেগম। মামলায় আসামি করা হয় রিক্তার স্বামী রফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, রিক্তার স্বামী যৌতুকের জন্য রিক্তাকে নির্যাতন করত। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে রিক্তার স্বামী রফিকুল ইসলাম।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয় রিক্তার স্বামীসহ অন্য আসামিদের। রিক্তার স্বামী কিছুদিন আগে গাইবান্ধা সদর থানায় এসে জানান মিথ্যা অভিযোগে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে রিক্তা রংপুরের কোনো এক স্থানে আত্মগোপন করে আছেন।

এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রিক্তার খোঁজ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের শালবন এলাকা থেকে কথিত মৃত রিক্তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

রিক্তার বরাত দিয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এতদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং আল্লাহর পথে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে- তিনি জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকতে পারেন।

রৌশন আরা বেগম রিক্তা বলেন, বিভিন্ন কারণে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ আত্মগোপন করেন। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। আটক রৌশন আরা বেগম বর্তমানে গাইবান্ধা সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

এদিকে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগে মামলার বাদী ও পলাতক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

এমআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *