বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে বড় দুটি শপিং মল (বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক) না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যদি মনে করে দোকান খোলা ঠিক হবে না, তারা খুলবেন না। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তো কোনও জোরাজুরি নেই। তবে যারা খুলবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এমন শর্তেই বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আবেদনে আগামী ১০ মে রবিবার থেকে মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে নাও খুলতে পারেন।’
গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে, এ অবস্থায় ক্রেতারা মার্কেটে আসবেন কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যিনি যে এলাকার বাসিন্দা তিনি সেই এলাকার মার্কেটে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন। এজন্য গণপরিবহনের খুব বেশি প্রয়োজন হবে না।’
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে অন্য বছরের চেয়ে এবার ১০ গুণ বেশি পণ্য মজুদ করা হয়েছিলো।
এ সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল বলে করোনা পরিস্তিতিতে ভালো অবস্থানে আছি।’
চলমান রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার রমজান থাকলেও নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আদার দাম বেড়ে গেছিল, আমরাও প্রচুর আমদানি করছি, এখন সহনীয় পর্যায়ে আছে। ১৫০ টাকা কেজি আদা। দেশে ছোলা ও বুট (ডাল) যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ ক্রয় আদেশ যাতে বাতিল না করে সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে... আমদানিকারকদের চিঠি দেয়া হচ্ছে যাতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রেলে ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য চারটি রুট ঠিক করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছ- হিলি, বিরল, দর্শনা ও বেনাপোল।
এএস