বৃহস্পতিবার ২৩, মার্চ ২০২৩
EN

জামায়াতের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আজ

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির সেফ হোমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছে সংস্থাটি। এরপর প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক নথিপত্র ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দাখিল করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল হাননান খান জানান, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলাম ও তার সহযোগী সংগঠন আল বদর,রাজাকার ও তৎকালীন দৈনিক পত্রিকা ও দলটির মুখপাত্র সংগ্রাম পত্রিকা সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। সাংগঠনিকভাবে এর কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল জামায়াতে ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস এ দেশের মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। আর পাক বাহিনীকে এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে জামায়াতে ইসলামী। একাত্তরে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদনটি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর প্রসিকিউশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন বলেও জানান তিনি। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত  বলেন,মঙ্গলবার চিফ প্রসিকিউটর তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে দেখবেন। প্রতিবেদনে যদি জামায়াতের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়,তাহলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হবে। ট্রাইব্যুনাল শুনানি করে সন্তুষ্ট হলে অভিযোগ গঠন এবং বিচার কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন,ট্রাইব্যুনাল আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ট্রাইব্যুনাল যেরকম শাস্তি দেয়া যৌক্তিক মনে করে,দিতে পারে। কিন্তু সংগঠনকে তো মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না। তাই বিচারে জামায়াত দোষী প্রমাণিত হলে দলটি নিষিদ্ধ হতে পারে। এছাড়া দলের সব ধরণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। তবে জামায়াত কিন্তু এখনো নিষিদ্ধ নয়। অবশ্য এর আগে ৩বার নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় দলটি। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালের ২৫ মে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে আবারো রাজনীতি করার সুযোগ পায়। [b]ঢাকা, ২৫ মার্চ (টাইমনিউজবিডি.কম) // কেএইচ [/b]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *