বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের সাথে বাকযুদ্ধ নতুন কিছু নয়। তবে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পাল্টেছে চিত্র। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে নিজেদের মাঠ তৈরি ও নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা রাখাতে সরব হচ্ছে বড় দু’দল। ধারণা কারা হচ্ছে এজন্য রাজনীতির মাঠে বাড়ছে বাকযুদ্ধ।
এদিকে দেড় দশক ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ব্যস্ত রাজনীতির মাঠ দখলে। অন্যদিকে, ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে দলের অভ্যন্তরে জোরালো কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর বেশ কয়েকটি ইস্যুতে গত ১১ আগস্ট ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করেছে বিএনপি। এরপর একাধিক ইস্যুতে পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বড় ধরনের সমাবেশ করেছে দলটি।
সমাবেশে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের বিপুল সমাগম ঘটছে। ফলে উজ্জীবিত ও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দলীয় সূত্রের দাবি, শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাদের মাঝে আস্থা ফিরেছে। মামলা-মোকদ্দমায় আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরাও প্রকাশ্যে আসছেন।
এসব সমাবেশ সহ রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা “রাজপথে ফয়সালা হবে” বলে সরকারকে বারবার হুশিয়ারী দিচ্ছে।
অন্যদিকে, বিএনপির মোকাবেলায় নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে সাড়া জাগাচ্ছে দলটি।
বিএনপি নেতাদের কথার বিরুদ্ধে পাল্টা হুশিয়ারী দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। যুবলীগের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন “বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে”।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা বড় দুই দলের নেতাদের বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে পারে ।
এমআই