ধর্ষণ ও নির্যতনের অভিযোগে পিরোজপুরের নাজিপুর থানার এএসআই আব্দুর রহিম, স্থানীয় মৌলভী মোজাহিদুল ইসলাম জাফর ও অসীম মিস্ত্রিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারক নাঈমা হায়দার ও বিচারক মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন
ধর্ষণ ও নির্যতনের অভিযোগে পিরোজপুরের নাজিপুর থানার এএসআই আব্দুর রহিম, স্থানীয় মৌলভী মোজাহিদুল ইসলাম জাফর ও অসীম মিস্ত্রিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারক নাঈমা হায়দার ও বিচারক মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই কিশোর-কিশোরীকে নির্যাতন, তাদের মধ্যকার বালিকাটিকে ধর্ষণ, শিশু বিবাহে বাধ্য করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ৮ এপ্রিল পিরোজপুরের নাজিপুর থানার এএসআই আব্দুর রহিম, স্থানীয় মৌলভী মোজাহিদুল ইসলাম জাফর ও অসীম মিস্ত্রিকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সাথে ওই ঘটনার ভিক্টিমকে আদালতে হাজির করতে আবেদনকারীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে পুলিশকে সহায়তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার, জেলার নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারি উপ-পরিদর্শক আবদুর রহমান, মৌলভী মুজাহিদুল ইসলাম মিয়া ও বকশী এসএম দাসুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার শিক্ষক অসীম মিস্ত্রিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে এ বিষয়ে রিট আবেদন করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অবন্দি নুরুল। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। ‘গার্ল গোজ থ্রেুা হরিফিক অ্যাবিউজ’ শিরোনামে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ বছর আগে স্থানীয় এক মসজিদের আরবি শিক্ষক আবদুস সালাম মিয়া ১৩ বছরের এক বালিকাকে যৌন হয়রানি করে। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে ওই ব্যক্তি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। ‘গত সপ্তাহে সালামের পুত্র মুজাহিদুল ইসলাম মিয়া জাফর বাবার অপমানের প্রতিশোধ নেন। জাফর স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক, যেখানে ওই বালিকা পড়াশোনা করে। ভ্যান চালকের সঙ্গে স্তানীয় একটি মেলায় যাওয়ার অপরাধে ওই বালিকাকে পুলিশে সোপর্দ করে।’ ‘সহকারি উপ পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রহমান ওই দুই বালক বালিকাকে বিবস্ত্র হতে এবং যৌন অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে। তিনি এ সবের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন, যা পরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর ওই এএসআই ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে।’ ‘গত ১২ মার্চ গ্রাম্য মেলায় যাওয়ার সময় জাফর ও তার সহযোগীরা ওই দুই বালক বালিকাকে জোর করে রাজলক্ষ্মী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর জাফর পুলিশ ডেকে আনে। হয়রানির এক পর্যায়ে বালিকাটিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে অন্য রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে বলেও বালিকাটি অভিযোগ করে।’ ‘এরপর তিনি ওই বালক-বালিকাকে নিবন্ধন ছাড়া বিয়ে দেন। পরে তাদের পরিবার ৩৫০০ টাকা জরিমানা দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। [b]ঢাকা, জিই, ১৯ মার্চ (টাইমনিউজবিডি.কম) // এআর[/b]