নাইজারের একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ শিশু নিহত হয়েছে। এদের বয়স ৫-৬ বছরের মধ্যে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। নাইজারের একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ শিশু নিহত হয়েছে। এদের বয়স ৫-৬ বছরের মধ্যে।
স্থানীয় সময় সোমবার ( ৮ নভেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় নাইজারে খড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি স্কুলটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, মাত্র ৭ মাস পূর্বে দেশটির রাজধানী নিয়ামেতে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
মারাদি শহরের মেয়র চাইবো আবু বকর বলেন, দুর্ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। খবর এএফপির।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ নাইজার। নানা প্রতিকূলতা স্বত্বেও দেশটি খড় ও কাঠ নির্মিত স্কুল দিয়েই দেশটি ভবনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক সময় শিশুদের মাটিতে বসেই পড়ালেখা করতে দেখা যায়।
প্রায়ই বিভিন্ন স্কুলের শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সোমবারের ( ৮ নভেম্বর) ওই অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার ( ৯ নভেম্বর) থেকে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে মারাদি অঞ্চল।
উল্লেখ্য, রাজধানী নিয়ামেতে গত এপ্রিলে একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ শিশু নিহত হয়।
এক বিবৃতিতে নাইজার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনা নাইজারের মানুষকে আবারও শোকের মধ্যে ফেলেছে।
খড় এবং কাঠের তৈরি ক্লাসরুম দেশে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নাইজারের টিচার্স ইউনিয়নের মহাসচিব ইসৌফৌ আরজিকা এএফপিকে বলেন, নিয়ামেতে দুর্ঘটনার পরই কাঠ ও খড়ের তৈরির স্কুল কতটা বিপজ্জনক সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন তারা।
তিনি বলেন, এর চেয়ে গাছের নিচেও ক্লাস নেওয়া ভালো। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এ ধরনের স্কুল বদলে দেওয়া হবে।
এইচএন
