মঙ্গলবার ২১, মার্চ ২০২৩
EN

পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা ‘মূল্যহীন’ : রাশিয়া

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার কিছু যায় আসে না বলে জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়া আইসিসির আদেশ মানতে বাধ্য না। কারণ আমরা এ আদালতকে মানি না।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান।

তিনি আরও বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত রাশিয়া মূল্যহীন হিসেবে অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করলেও পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে পুতিন বাধ্য হবেন আসামি হিসেবে হাজির হতে।

সিএনএনের চ্যারিসা ওয়ার্ডকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে করিম খান সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ, সাবেক লাইবেরিয়ার নেতা চালর্স টেলরসহ নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের ঐতিহাসিক বিচারের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, 'তারা সবাই ছিলেন শক্তিশালী, বলশালী ব্যক্তি। কিন্তু তারাও নিজেদের আদালতকক্ষে দেখতে পেয়েছিলেন।'

শুক্রবার ( ১৭ মার্চ ) আইসিসি পুতিন ও রুশ কর্মকর্তা মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকা থেকে শিশুদের রাশিয়ায় পাচার করার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। রুশ সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ ধরনের কিছু তারা করেননি।

করিম খান বলেন, আইসিসির এই আদেশ ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যভুক্ত কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে এই প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো।

বিশ্বের ‌'বিচার প্রার্থনার শেষ আদালত' হিসেবে পরিচিত আইসিসিতে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়। ১২৩টি দেশ চুক্তির মাধ্যমে এই আদালতকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও চীনসহ কয়েকটি দেশ এই আদালতের বাইরে রয়ে গেছে। ২০১৬ সালে পুতিনের নির্দেশে রাশিয়া এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়।

তবে করিম খান বলেন, রোম চুক্তির ২৭ অনুচ্ছেদ এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ফলে এর মূল্য রয়েছে।

এই আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার করতে পারে না। ফলে পুতিনের বিচার হতে হলে রুশ কর্মকর্তাদের তাকে হস্তান্তর করতে হবে কিংবা রাশিয়ার বাইরে পুতিনকে গ্রেফতার করতে হবে। সূত্র : সিএনএন ও আনাদোলু।

এন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *