করোনাভাইরাসের কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পাওয়া ঋণ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ চেয়েছে পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন-বিজিএমইএ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পাওয়া ঋণ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ চেয়েছে পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন-বিজিএমইএ।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। বৈঠকে বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মান্নান (কচি)। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক এম এহসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পোশাক শিল্পের কঠিন সময় দীর্ঘায়িত হয়েছে। সেই অবস্থা এখনও কাটেনি। এই সংকটময় সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের দেওয়া ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টির পরিবর্তে ৩৬টি করা খুব প্রয়োজন।
ঋণখেলাপি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, কোনও গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ব্যবসা পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংকঋণ সুবিধার অভাবে নিয়মিত ভালো প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও একপর্যায়ে ঋণ পরিশোধ করার কোনও সুযোগ থাকে না। কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের যে কোনও একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির কারণে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ ও ব্যাংক সুবিধাদি বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলীকরণের সুযোগ দিয়ে ঋণ সুবিধা বহাল রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তারা।
গত বছরে করোনার শুরুতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। দ্বিতীয় দফায় আরও বাড়িয়ে ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। এক হাজার ৮০০ পোশাক কারখানা এই প্যাকেজ থেকে ঋণ পেয়েছে।
এমবি