করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে এলে ফ্রন্টলাইনারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনায় সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকার একজন সাধারণ রোগীর জন্য গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও একজন আইসিইউ ইউনিটে থাকা রোগীর জন্য ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। এর ফলে করোনাকালীন মহামারিতে দেশের সাধারণ মানুষ ভীষণ উপকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে এলে ফ্রন্টলাইনারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে ফান্ড আছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করব। সবাই একবারে টিকা পাবে না; তাই গ্রুপ করে ভাগ করেই টিকা দেওয়া হবে।
‘কারা ভ্যাকসিন পাবে, সে নিয়ে ক্যাটাগরি ঠিক করা হচ্ছে। ভাকসিনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু-এর প্রটোকল মেনেই যারা ফ্রন্টলাইনার তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ডাক্তার, সেনাবাহিনী, বয়স্ক মানুষ, সাংবাদিক, স্কুলশিক্ষকরা অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে।‘
টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে কি না সেটা নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, জনগণকে সেবা দিতে, করোনায় ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে, সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার সেকেন্ড ওয়েভের জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। ডাক্তার-নার্সরা প্রশিক্ষিত। পিপিই পর্যাপ্ত আছে। যতগুলো মন্ত্রণালয় আছে সবগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।‘
তবে ভ্যাকসিন এলেও তো সবাইকে রাতারাতি দিতে পারব না- এমনটা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “তাই নিয়ম মানতে হবে। আর করোনা মোকাবিলায় ‘নো মাস্ক-নো সর্ভিস’ নীতির জোরদার করা হবে।
আমাদের সুরক্ষা সরঞ্জামও পর্যাপ্ত আছে। জেলা কমিটি সভা করে সচেতনতা বাড়াবে। সব মন্ত্রণালয়ের বরাবর চিঠিও পাঠানো হয়েছে।“
এএস