বৃহস্পতিবার ২৩, মার্চ ২০২৩
EN

মালয়েশিয়া ভ্রমণে বিধিনিষেধ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের ভ্রমণে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সিভিল এভিয়েশন। পূর্ণাঙ্গ ডোজ না নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি থাকতে হবে চার দিনের কোয়ারেন্টাইনে।

রোববার (১৩ মার্চ) সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে ইস্যু করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে যাত্রার দুইদিনের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছে ভ্রমণকারী তার নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।

নতুন এই ভ্রমণ বিধিনিষেধ আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। আদেশের একটি কপি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) পাঠানো হয়েছে।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব যাত্রী টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়েছেন, তবে গত ২ মাসে একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেসব যাত্রীকে যাত্রার ২ দিন আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে হবে। তাদের কোনো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে তাকে নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।

এছাড়া যেসব যাত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে করোনার টিকা নেননি তাদের যাত্রার দুইদিনের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছে তাকে নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। থাকতে হবে নিজ খরচে ৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

কোয়ারেন্টাইনের ৪র্থ দিন তাদের আরটি-পিসিআর ও ৫ম দিন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। দুই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই ভ্রমণ করতে পারবেন মালয়েশিয়ার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে দেশের সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সাম্প্রতিক ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের ৯৯ শতাংশ সংক্রমণ হালকা বা উপসর্গহীন দৈনিক আক্রান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল থেকে শর্ত সাপেক্ষে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

এমআই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *