বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগটা কেবল শেষ হয়েছে। লিগ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতই দুঃসংবাদ- সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থাকছে না আর ফুটবলে।
খবরটি শুনে কেউ বিস্মিত, কেউ মর্মাহত, কেউ আবার লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে শঙ্কিত। কারণ ২০১৭-১৮ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই নতুন এই ক্লাবটি গড়ে আসছিল তারুণ্যনির্ভর দল। ক্লাবটিতে ইতিমধ্যে অনেকেই খেলছেন খেলোয়াড় তৈরির একটা ক্ষেত্র হিসেবে। সেই ক্লাবটিই কি না ফুটবলে থাকবে না।
একেকজনের একেক মন্তব্য হলেও এই ক্লাবের খেলোয়াড়রা রয়েছেন মহা দুশ্চিন্তায়। বিশেষ করে, যে খেলোয়াড়রা আগামী মৌসুমে অন্য ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সাইফে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের যেমন আত্মবিশ্বাস, ‘সিদ্ধান্তটা শুনেছি সাময়িক। তাই আমরা আশা করতেই পারি, ক্লাবটি ফুটবলে থাকছে। আমরা শুনেছি, ক্লাবটি নতুন ক্যাম্প ভাড়া করেছে। অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছে। তাই আমাদের আত্মবিশ্বাস খারাপ কিছু হবে না।’
এবার দলবদলের বাজারে বড় ঝড়টা গেছে সাইফের ওপর দিয়েই। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সাইফ ছেড়ে শেখ রাসেলে যোগ দেওয়া নিশ্চিত। সঙ্গে আরও চারজনের মতো রয়েছেন। কয়েকজন যাচ্ছেন মোহামেডানে, কয়েকজন আবাহনীতে। খেলোয়াড়দের সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো ১৩-১৪ জন ফুটবলার এবার থাকতে পারেন। বাকিরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
লিগ শেষ হলেও সাইফের ক্যাম্প এখনো বন্ধ করা হয়নি। এমনকি খেলবে না- এমন সিদ্ধান্তের পরও। যারা এখন ক্লাবের ক্যাম্পে আছেন তাদের একজন গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। তিনি বলছিলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ফুটবলের জন্য অবশ্যই খারাপ খবর। খারাপ খবর খেলোয়াড়দের জন্যও। যারা অন্য দলে যাওয়া চূড়ান্ত করেছে তাদের বিষয়টা ভিন্ন। কিন্তু যারা থেকে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা পড়ে গেছেন টেনশনে। কারণ, ভেতরে ভেতরে বেশিরভাগ ক্লাবই দল গুছিয়ে ফেলেছে। থেকে যাওয়ারা এখন অন্য ক্লাবে যোগাযোগ করলেও তাদের চাহিদা থাকবে কম। অন্য ক্লাবগুলো পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।’
এমআই