ঢাকা: যশোরের নবনির্বাচিত সরকারদলীয় দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রতি কেন্দ্রে একশ' জন কর্মীর দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার বেফাস মন্তব্য করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে কমিশন সভায় তাদেরকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
[b]ঢাকা:[/b] যশোরের নবনির্বাচিত সরকারদলীয় দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রতি কেন্দ্রে একশ' জন কর্মীর দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার বেফাস মন্তব্য করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে কমিশন সভায় তাদেরকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের সংসদ সদস্য বাতিল এবং কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। ভোটগ্রহণের আগে যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন ও তার বেয়াই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে যশোর-২ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মনিরুল ইসলাম নির্বাচন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন। আফিল উদ্দিন তার বেয়াইয়ের পক্ষে প্রচারণায় নেমে প্রকাশ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের একশ জন কর্মী ভোটকেন্দ্র দখল করে বেলা ১১-৫৯ মিনিটের মধ্যে নৌকা প্রতীকের জয় সুনিশ্চিতকরণ’-এর ফর্মুলা দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একশ কর্মী কেন্দ্রে থাকবে, পালাক্রমে ভোট দেবে। কর্মীদের সাহস দিয়ে আফিল উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো প্রশাসনিক সমস্যায় পড়েন আমাকে বলবেন, আমি জবাব দেব। তার (বেয়াই) জন্য যা যা করণীয় ভোটের মধ্যে তা কিন্তু করা লাগবে। কী করা লাগবে, আমি তা মাইকে বলতে পারব না। একা একা জিজ্ঞেস করবেন, বলে দিব।’ ইসি জানায়, যশোরের নির্বাচনী তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি ইসিকে জানিয়েছেন। ইসির কর্মকর্তারা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৮১ ধারা অনুযায়ী দুই বেয়াইয়ের তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।