রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের নাজমুল হোসেন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের নাজমুল হোসেন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দণ্ডিতদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার বিশ্বাস এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বাঘার গড়গড়ি সুলতানপুর গ্রামের মিন্টু আলী, রানা, পানা, আরিফ হোসেন, শরিফ হোসেন ও পার্শ্ববতী নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহার গ্রামের আরজেদ আলী সিকদার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এ মামলার চার্জশিটভুক্ত মোট আসামি ছিলেন ২৫ জন। তবে তাদের মধ্যে চারজন শিশুও ছিল। সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে ওই চারজনকে যশোরের শিশু আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়, যা এখনও বিচারাধীন। বাকি ২১ আসামির বিচার হয়েছে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। যাদের মধ্যে ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও ১৫ জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ভাগ্নিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি বিকালে বাঘার সুলতানপুর গ্রামে নাজমুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে বাঘা থানা পুলিশ ২৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে অভিযুক্ত চারজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের বিচারের জন্য শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সেই বিচার এখনও চলছে।
এদিকে মামলার বাদী নিহত নাজমুল হোসেনের বাবা রায় ঘোষণার পর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। অপরাধ বিবেচনায় আসামিদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। প্রকাশ্যে অপরাধ করেছেন তারা। কি করা যায় ভেবে দেখবেন।
উল্লেখ্য, নিহত নাজমুলের যে ভাগ্নিকে উত্যক্ত করা হয়েছিল ওই সময় সে বাঘার খানপুর জেপি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম ছাত্রী ছিলেন। রায় ঘোষণার পর এই ছাত্রীও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে দীর্ঘদিন স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিভিন্ন আন্দোলন করেন।
এমআর