মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে রমজান মাস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ মাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলমানরা। ফলে এই মাসে কাজের সময়সূচি ও অভ্যাসে অনেকটা পরিবর্তন আসে। তাই রোজায় সুস্থ থাকতে হলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
বিষয়গুলো জেনে নিন-
(১) হালকা খাবার : ইফতারে অনেকেরই ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস আছে। তবে এই অভ্যাস থাকলে সুস্বাস্থ্যের আশা করা যাবে না। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর তেলে ভাজা খাবার খেলে আমাদের পাকস্থলী তা সহজে হজম করতে পারে না। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। এতে গ্যাসের সমস্যাসহ পেটে আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই রোজায় যতটা সম্ভব হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
(২) ঘুম : রমজান মাসে ঘুমের সময়ে কিছুটা পরিবর্তন আসে। সাহরি খাওয়ার জন্য ভোর রাতে জাগতে হয়। তাই নামাজ ও অন্যান্য জরুরি কাজ আগেই সেরে ফেলুন। এতে করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া সহজ হবে। রোজায় ঘুম পূর্ণ হলে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হবে যাবে।
(৩) অতিরিক্ত কাজ না করা : রমজান মাসে অনেকে অতিরিক্ত কাজের চাপ নেওয়া যাবে না। অনেক গৃহিনী ইফতারের জন্য হরেকরকম খাবার তৈরি করে থাকেন। এতে সময় অপচয় তো হয়ই, শরীরে দুর্বলতাও চলে আসে। রমজান হলো সংযমের মাস। খাবারের ক্ষেত্রেও সংযম আনার চেষ্টা করুন। রান্নাবান্না ছাড়াও এ সময় বেশি পরিশ্রম হয় এমন কাজ এড়িয়ে যান। নয়তো সতজেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।
(৪) পানি পান : রমজানে দিনের বেলা খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। তাই ইফতারের পর বিরতি দিয়ে দিয়ে পানি পান করুন। সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকায় শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে কারণে শরীরে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
(৫) নিজেকে সচল রাখা : রোজা রাখলেই অলস শুয়ে-বসে থাো যাবে না। নিজেকে সচল রাখুন। নিয়মিত যে কাজগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলুন। একটানা বসে থাকা কিংবা কাজ না করে থাকার অভ্যাস করবেন না।
এন