ভারতের জাতীয় ক্রাশ খ্যাত হালের জনপ্রিয় তেলেগু অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। সবাইকে অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্য দিয়ে মুগ্ধ করেছেন। ‘বাহুবলি’খ্যাত অভিনেতা প্রভাস রাশমিকাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড হিরোইন’ বললেন।
রাশমিকা অভিনীত সিনেমা ‘সিতা রামাম’। এ সিনেমায় রাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুলকার সালমান।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে এমন মন্তব্য করেন প্রভাস।
প্রভাস বলেন—‘‘কিছু সিনেমা রয়েছে যা হলে গিয়ে দেখতে হয়। ‘সিতা রামাম’ সিনেমার ট্রেইলার দেখেছি। রাশিয়া ও কাশ্মীরে সিনেমাটির শুটিং করেছেন পরিচালক। এটি এমন একটি সিনেমা যা হলে গিয়ে দেখতে হবে।
এ সিনেমা নির্মাণের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছেন প্রযোজক। উদাহরস্বরূপ যদি বলি, বাড়িতে পূজার ঘর আছে, তাই বলে কি মন্দিরে যাওয়া বাদ দেব? আমাদের কাছে সিনেমা হলই মন্দির।
হলে গিয়ে আমাদের ‘সিতা রামাম’ দেখা উচিত। আমাদের একজন রাশমিকা আছে, যে মোস্ট ওয়ান্টেড হিরোইন। এতে অনেক তারকা শিল্পী অভিনয় করেছেন; হলে গিয়ে আমাদের সিনেমাটি দেখা উচিত।’’
পরিচালক হানু রাগবপুড়ি পরিচালিত ‘সিতা রামাম’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন—ম্রুনাল ঠাকুর, গৌতম বাসুদেব মেনন, ভূমিকা চাওলা, প্রকাশ রাজ, যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা প্রযোজনা করছেন অশ্বিন দত্ত।
প্রসঙ্গত, রাশমিকা মূলত তেলুগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। গণমাধ্যম এবং কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি 'কর্ণাটক ক্রাশ' নামে পরিচিত।
খুবই স্বল্পসংখ্যক অভিনেত্রীর মধ্যে রাশমিকা অন্যতম, যিনি অল্প সময়ের মাঝে কোন চলচ্চিত্রে ১ বিলিয়ন রুপি আয় করেছিলেন। তেলুগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক পারিশ্রমিকের একজন অভিনেত্রী।
২০১৬ সালে কন্নড় চলচ্চিত্র কিরিক পার্টি-এর মাধ্যমে রাশমিকা অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পরের বছরই অর্থাৎ ২০১৭ তে চমক এবং আঞ্জানী পুত্রা নামক দুটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র চালো দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এই নায়িকার। একই বছর তিনি গীতা গোবিন্দম-এ অভিনয় করেছিলেন, যা তেলুগু চলচ্চিত্রে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকারীদের তালিকায় স্থান করে নেয় এবং ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি।
রাশমিকার তৃতীয় তেলুগু প্রকল্পটি ছিল দেবদাস নামে একটি তারকাবহুল বড় বাজেটের চলচ্চিত্র। কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রথম হ্যাট্রিক-হিট করার পরে তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পেও একই বছরে পরপর তৃতীয় সফল চলচ্চিত্র হিসাবে এটি চিহ্নিত হয়। এ সময় তিনি তেলুগু ও কন্নড় চলচ্চিত্রে মুখ্য অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।
এইচএন