হরতাল, অবোরধ আর মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহে সারা দেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। শৈতপ্রবাহে কাঁপছে পুরো দেশ। প্রবল শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গ্রামীনজীবন।
[b]ঢাকা:[/b] হরতাল, অবোরধ আর মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহে সারা দেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পুরো দেশ। প্রবল শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গ্রামীনজীবন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা,হরতাল ও অবরোধের সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে শৈত্য প্রবাহ আর ঘনকুয়াশা। প্রবল কুয়াশায় আজ দুপুর পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মিলেনি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও সকালে খোলা হয়নি বলে জানা গেছে। শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে মহাবিপাকে। এসময় বাইরে বের হতে না পেরে ঘরে বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। যারা প্রয়োজনের তাগিদে বের হলেও সন্ধ্যার পর পরই তারা বাসায় ফিরতে শুরু করেন। ফলে সারা দেশে খেটে খাওয়া মানু্ষের অর্থ উপার্জনের সব পথ বন্ধ হতে চলেছে। এঅবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে দেশে দুর্ভীক্ষ নামতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে, বিরোধী দলের ডাকা হরতাল ও অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দুরপাল্লার কোন গণপরিবহন চলছে না। কিছু ছোট খাট যান চলাচল করলেও কুয়াশার কারণে তা চলাচল করছে অত্যন্ত ধীর গতিতে । এছাড়া দিনে কিছু নৌ-চলাচল করলেও রাতে প্রবল কুয়াশার কারণে তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নৌযান কতৃপক্ষ। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন দেশের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষেরা। শীতের কারণে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এসব রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বোরো ফসলের। প্রবল শৈত্যপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। অনেক কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,প্রচন্ড শীতে বোরো ধানের বীজ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শাক-সবজিতে মড়ক দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শৈত্যপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তারা জানান,বৈশ্বিক উষ্ণতায় মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছে, তাই সামনের দিনগুলোয় শীতের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, রবিবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো: শাহ আলম টাইম নিউজকে বলেন, গত ২/৩ দিন থেকে মৃদ শৈতপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। আগামী ২/১ দিনে ঠান্ডা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে শিতের প্রভাব আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।