প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং মার্চে মিয়ানমারে বৈঠকে বসছেন। এটিই হবে দুই নেতার মধ্যে শেষ বৈঠক। বিমসটেক সম্মেলনের এক ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। ১ থেকে ৪ মার্চ মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং মার্চে মিয়ানমারে বৈঠকে বসছেন। এটিই হবে দুই নেতার মধ্যে শেষ বৈঠক। বিমসটেক সম্মেলনের এক ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। ১ থেকে ৪ মার্চ মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারে এ তথ্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমার ছাড়াও বিমসটেক গোষ্ঠীতে আছে ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো দেশ। শেখ হাসিনা পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করে সদ্য পুননির্বাচিত। আর মনমোহন ১০ বছরের মেয়াদ শেষ করে বিদায়ের পথে। এটা স্পষ্ট যে কংগ্রেস বা ইউপিএ ক্ষমতায় ফিরলেও মনমোহন আর থাকবেন না এই পদে। তাই মনমোহন-হাসিনার আসন্ন বৈঠকে এক দিকে থাকবে গত পাঁচ বছরের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব। পাশাপাশি সাউথ ব্লকের তরফে ঢাকাকে জানানো হবে যে, সরকার বদল হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, যে সরকারই কেন্দ্রে আসুক, ভারতের নিজস্ব কৌশলগত এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই ঢাকার সঙ্গে সম্পাদিত সব বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত পদক্ষেপ আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী নয়াদিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে গিয়েছেন। দূতাবাস সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে মনমোহন সিং সীমান্ত নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিরিনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্পিকারকে আশ্বাসও দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে অবশ্যই প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রফতানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ প্রশ্নে নিজস্ব সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কিছু হতাশাও রয়েছে মনমোহনের। তিনি ২০১১ সালে ঢাকা সফরে গিয়ে কথা দিয়েছিলেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদেই তিস্তা এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পাদন করবেন। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। [b]ঢাকা,১৭ ফেব্রুয়ারি (টাইম নিউজবিডি.কম)//এএইচ[/b]