একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফের পক্ষে তিন জন সাফাই সাক্ষী নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফের পক্ষে তিন জন সাফাই সাক্ষী নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ৪-৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিজানুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট গাজী এইচএম তামীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত ও অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম। এর আগে একেএম ইউসুফের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ৫৬ জনের তালিকার একটি আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষ। ওই তালিকা থেকে ট্রাইব্যুনাল মাত্র তিন জনকে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। গত ১ আগস্ট মাওলানা ইফসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। গত ৬ মে তার পক্ষে করা জামিন আবেদন খারিজ করেছেন। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ধানমন্ডির বাসা থেকে জামায়াতের এই নেতাকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৮ মে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর রাষ্ট্রপক্ষে কৌসুলি অ্যাডভোকেট হৃষিকেষ সাহা ১৫ টি অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে। গত ২২ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে তদন্তের চুড়ান্ত প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষ বরবার জমা দেন তদন্ত সংস্থা। একাত্তরে ৭শ জনকে গণহত্যা, ৮ জনকে হত্যা, ২শ হিন্দু লোককে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করাসহ ৩শ বাড়ী লুন্ঠন এবং ৪শ দোকান লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করার অপরাধ আনা হয়েছে। একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে (ফরমাল চার্জে) মূল ৮৫পৃষ্ঠার ১৫ টি অভিযোগের ভিত্তিতে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয় । তদন্ত সুত্রে জানা যায় একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি তদন্ত শুরু করে গত ২১ এপ্রিল শেষ করে। গত ২৩ জুন একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-১। মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে পাকিস্তানিদের গঠন করা কথিত মালেক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ইউসুফ এক সময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বও পালন করেছেন। [b]ঢাকা, জানুয়ারি ৩০ (টাইমনিউজবিডি.কম) // জিই[/b]