tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪২ পিএম

আচরণবিধি নিশ্চিতে মাঠে ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট


নির্বাচন

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে ৮০২ জন নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) নেমেছেন মাঠে।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। কিছু প্রক্রিয়া বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন।

গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ইসির পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে।

মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি নির্বাচনি এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা হাকিমরা (জেলা প্রশাসক) ইসি নির্ধারিত সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।

এ ছাড়া প্রতি জেলায় জেলা হাকিমের অধীনে অতিরিক্ত এক বা দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখার কথা বলা হয়েছে, যেন জরুরি প্রয়োজনে তারা যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল, স্ট্রাইকিং

ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। তাই ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হবে।

এ ছাড়া মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। পরে মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

এসএম