১৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজি : সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের কারাদণ্ড
Share on:
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় কক্সবাজার ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ডিবি পুলিশের ছয়জন সদস্যকে কঠোর নিরপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- এসআই মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, এসআই মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, এএসআই মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, এএসআই মোহাম্মদ ফিরোজ, এএসআই আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আজম ও কনস্টেবল আল-আমিন। এর মধ্যে এসআই মনিরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার ডিবি পুলিশের সাত সদস্য টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে আবদুল গফুরকে (৩২) কক্সবাজার শহর থেকে অপহরণ করে টেকনাফ নিয়ে যায়।
পুলিশ সদস্যরা অপহৃত আবদুল গফুরকে মারধর করে ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আবদুল গফুরের স্বজনেরা ডিবি পুলিশের সদস্যের ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে অপহরণ অবস্থা থেকে আবদুল গফুরকে ডিবি পুলিশ ছেড়ে দেয়।
পরে বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা টেকনাফের লম্বরী সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে জানায়। টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্টের সেনা সদস্যরা মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে ১৭ লাখ নগদ টাকা পান।
এ সময় এসআই মনিরুজ্জামান মাইক্রোবাস থেকে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয় পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।
ঘটনায় আবদুল গফুর মুক্তিপণ আদায়কারী সাত পুলিশ সদস্যকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।
মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে সাত পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে।
মামলাটির চার্জ গঠন করে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া মামলায় আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, যুক্তিতর্কসহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সোমবার সম্পন্ন করা হয়।
এন