tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৪:০৬ পিএম

গণগ্রেফতারের নিন্দা ও মুক্তি দাবি চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের


জামায়াত

সারাদেশে আড়াই শতাধিক ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে গণহত্যার বিচার, সাধারণ মানুষকে গণগ্রেফতারের নিন্দা, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ।


কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির শাহজাহান চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।

শুক্রবার (২৬জুলাই) এক বিবৃতি প্রদান করেন তারা।

বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলি বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে কয়েক দিনে সাতজন নিহত ও কয়েক শ’ আহত এবং সহস্রাধিক গ্রেফতারের মধ্যে এ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীই গ্রেফতার হয়েছে।

সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাসায়, প্রতিষ্ঠান হামলা গণগ্রেফতারের নামে হয়রানি করছে।’

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত নেতারা বলেন, ‘সিএমপি পুলিশ কোতোয়ালি, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, খুলশী থানাসহ বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের ও শতাধিক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এখনো বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে।

ইতোমধ্যে নগরীর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী, ডবলমুরিং, বায়েজিদ, আকবরশাহ, পাহাড়তলী, ইপিজেডসহ গভীর রাতে বায়তুশ মাদরাসা, খুলশী আবু হুরায়রা মাদরাসা থেকে নিরীহ এতিম ও মাদরাসাছাত্রদের তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’

জামায়াতের নগর নেতারা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ন্যায়, যৌক্তিক ও শান্তপূর্ণ আন্দোলন ছিল। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীরাই এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েছে।

দৈনিক প্রথম আলো ও যমুনা টিভির সংবাদ থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিআরটিসি বাস ডিপোতে যুবলীগের নেতা টাকা দিয়ে ভাড়া করা লোক দিয়ে চারটি বাস পুড়িয়েছে। তারা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই এই গণহত্যা ও সরকারি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’

জামায়াত নেতারা অবিলম্বে সারাদেশে গণহত্যা বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গণগ্রেফতার বন্ধ এবং গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি