বাফুফের ২ কর্মকর্তাকে ফিফার নিষেধাজ্ঞা
Share on:
আর্থিক অসঙ্গতির দায়ে সালাম মুর্শেদী ও আবু নাইম সোহাগসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ৫ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় এনেছে ফিফা।
এর মধ্যে সোহাগের শাস্তি প্রথমে ২ বছর নিষেধাজ্ঞা ছিল, আজ বলা হয়েছে তিনি তিন বছর নিষিদ্ধ থাকবেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সেই তদন্তে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সোহাগ ছাড়া আরও কয়েকজনের ওপর তদন্ত অব্যাহত রেখেছিল ফিফা। সেই তদন্তের রায় আজ (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করেছে ফিফা। অর্থাৎ বাফুফেতে দুর্নীতির ঘটনায় আজ চূড়ান্ত শাস্তি ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধের পাশাপাশি দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। সোহাগ কাণ্ডের পর ফুটবল ফেডারেশন তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। বাফুফের তদন্ত কমিটিও তাদের দায় খুঁজে পেয়েছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা এলো ফিফা থেকে।
সোহাগ কাণ্ডের এক বছর ও ফেডারেশনের হালচাল
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান। আর্থিক অসঙ্গতি ও ফিফার কমপ্ল্যায়ন্স সঠিকভাবে ফেডারেশন পূরণ করতে না পারায় সালাম মুর্শেদীকেও দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। সালামের পাশাপাশি বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইমরুল হাসান শরীফকেও সাধারণ দায়িত্বের আওতায় ফিফা নির্দেশিত কমপ্ল্যায়ন্স পূরণ না করায় সতর্ক করা হয়েছে।
ফিফার এথিকস কমিটির এডজুকেটরি চেম্বার সবার সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। আবু নাঈম সোহাগ, আবু হোসেন, মিজানুর রহমানের ওপর সাধারণ দায়িত্ব, আনুগত্য ও মিথ্যাচারের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। আজকের বিজ্ঞপ্তিতে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। আর তার মোট জরিমানার পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ টাকা।
এমএইচ