নিবন্ধন পেতে গণঅধিকার পরিষদের আবেদন
Share on:
গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন দলটির সদস্যসচিব নুরুল হক নুরু।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন আবেদন জমা দেন তিনি। এসময় দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কনসার্ন নেই। নির্বাচনকালীন সরকার আমাদের প্রধান বিষয়। আমাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে কুত্তা-বিলাই-ছাগল দৌড়াদৌড়ি করেছে। কুত্তা-বিলাই-ছাগল দৌড়াদৌড়ি করবে- এ রকম ভোট এবং ভোটের পরিবেশ আমরা চাই না।
নুরুল হক নুরু বলেন, জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সেই ধরনের উৎসবমুখর ভোট এবং নির্বাচনের পরিবেশ আমরা চাই। তার জন্য অবশ্যই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছি এবং বিরোধীদলগুলো সেই দাবিতে এরই মধ্যে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলছে। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছি না এবং যাবো না।
তিনি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো বিনাভোটের এবং ভোট ডাকাতের নির্বাচন এই দেশে ভবিষ্যতে আর হবে না। আগামীতে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করলে অবশ্যই আমরা নিবন্ধন পাবো। আমাদের যদি নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করা হয় সেটা অন্যায় করা হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য তারুণ্যের উত্থান, এই রাজনৈতিক দলের জন্ম। প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকার আদায় করবো।
ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, এখন পর্যন্ত জোটের বিষয়ে আমরা ভাবছি না। দেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির সংকট রয়েছে। নেতৃত্বের প্রতি মানুষের একটা আস্থাহীনতা রয়েছে। সে কারণে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান হচ্ছে।
বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্যান্য বিরোধীদলের সঙ্গে যুগপৎ ভাবে আন্দোলন করবো, রাজপথে থাকবো কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে এখনো দলের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এন