১৩ বছরেও পূর্ণতা পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর
Share on:
২০০৮ সালে ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। পাঠাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পৈতৃক বাড়ি। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মেঘনা নদীর গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা রামনগর গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর নামকরণ করেছেন।
প্রবেশমুখে নির্মিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্মৃতিফলক ‘বাংলার ঈগল’। রামনগর হাই স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। পাঠাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই।
গ্রন্থাগারের লাইবেরিয়ান বিউটি আক্তার জানান, এখানে বর্তমানে ৪ হাজার ২০০টি বই আছে। ২০০৮ সালের পরে নতুন কোনো বই আসেনি। শুধু তাই নয়, গ্রন্থাগারের বেশির ভাগ ইলেকট্রিক বাতি নষ্ট।
গ্রন্থাগারের নিজস্ব প্রবেশ গেইট নেই। স্কুল চলাকালীন গেইট বন্ধ থাকায় সাধারণ দর্শনার্থীরা আসতে পারে না। বেশ কিছু সমস্যার চাহিদাপত্র জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি মতিউর রহমান গ্রন্থাগারে বইয়ের পাশাপাশি স্মৃতি জাদুঘরে তার ব্যাবহারিক ও মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি পরিচালনায় দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদাগুলো আমাদেরে জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
এইচএন