tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪২ পিএম

সোনার বাজারে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত: শিল্পমন্ত্রী


৫

সোনার বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত বলে মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ভালো মানের কাজের মাধ্যমে স্বর্ণকে ভারতের সমপর্যায়ে নিতে পারলে আমরা তাদের চেয়েও কম দামে ও কম খরচে মার্কেট ধরতে পারব।


শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার (আইসিসিবি) হলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাজুস মেলা ২০২৩ ও জুয়েলারি শিল্পে সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ বলেন, ভারতে অনেক বাংলাদেশি সোনার কারিগর কাজ করছে, তাদেরকেও যদি দেশে এনে এই কাজে সংযুক্ত করা যায় তাহলে আমরা আরো ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পাব।

তিনি বলেন, স্বর্ণের ব্যবসা বাংলাদেশে শুরু থেকেই কটেজ ইন্ডাস্ট্রির মতো চলছে। কিন্তু এই ব্যবসা সেই প্রাচীন সভ্যতা থেকেই চলছে। তাই আজকে আমরা এই শিল্পকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই, বিশ্ব বাজারে নিয়ে যেতে চাই,

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে এটি একটি বিশাল বাজার। সেজন্য কাজ করতে হবে। আমাদের এই ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত। এছাড়া চোরাচালানসহ নানা বিষয় আছে। চোরা চালান হচ্ছে ঘোষণা ছাড়া ব্যবসায়। যখন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারে না তখন সেটি চোরাকারবার হয়।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সোনার র মেটারিয়াল নেই, যেকারণে মাঝে মাঝে এর সংকট সৃষ্টি হয়। আমাদের এখানে যে মেটারিয়াল প্রয়োজন সেটা যদি আমরা এখানে এনে পরিশোধন করে সেটার একটা ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি মেইন্টেইন করে বাজারজাত করতে পারি তাহলে এটি সার্থক হবে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি যেখানে আছে নারী যেখানে আছে সেখানে সোনার কদর আছে। সোনা আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যের মতো, এটি কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। পারিবারিকভাবে যখন সচ্ছল থাকে তখন সোনা গয়নায় রূপান্তরিত হয়। আর কোনো ক্রাইসিস দেখা দিলে সেটা বিক্রি করা হয়।

নতুন করে স্বর্ণ উৎপাদনের সিকিউরড জোনের জন্য বসুন্ধরার উদ্যোগে বড় জায়গা ব্যবস্থা করলে সরকারি তদারকিতে তা কাজে লাগানো যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাজুসের সভাপতি ও বসুন্ধরা সায়েম সোবহান আনভীর স্বর্ণের চোরাচালান বন্ধে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, দুবাই থেকে সোনা আনলে ট্যাক্স ফ্রি, তাহলে আনবে না কেন। ৩৪ লাখ লোক এই ব্যবসার সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত আছে। সরকার যদি আমাদের সুযোগ করে দেয় তাহলে এই ব্যবসা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে অর্থনীতিতে।

সোনার শিল্প গড়ে তুলতে সিকিউরড এলাকা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্পের জন্য একটা নিরাপদ জোন ৩ থেকে ১ হাজার একর, জায়গা দিয়ে থাকলে এটি আরো অনেক বড় শিল্প হিসেবে ভূমিকা রাখবে। আইন শিথিল করলে, ট্যাক্স শিথিল করলে আর চোরাচালান থাকবে না। আর আমাদের উৎপাদিত পণ্যে ভ্যালু ইডিশন করতে পারে ৫০ শতাংশ।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশে অনেক পুরোনো একটি শিল্প। হাতে বানানো জুয়েলারি ৮০ শতাংশ বাংলাদেশ ও ভারতেই বানানো হয়। এই শিল্পের অনেক সম্ভাবনা আছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন দ্বিতীয় বাজুস ফেয়ার ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

এমআই