মেসির হ্যাটট্রিক, প্রতিপক্ষের জালে ৭ গোল
Share on:
লিওনেল মেসি দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে স্পর্শ করলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের তিন অঙ্ক। সেখানেই না থেমে উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। আগ্রাসী ফুটবলে কিরাসাওকে গোলবন্যায় ভাসালেন কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার (২৯ মার্চ ) সকালে সান্তিয়াগো দেল এস্তেরোর মাদ্রে দে সিউদাদেসে প্রীতি ম্যাচে ৭-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। তাদের অন্য চার গোলদাতা নিকোলাস গনজালেস, এনসো ফার্নান্দেস, আনহেল ডি মারিয়া ও গঞ্জালো মনতিয়েল।
ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর এ মাসেই প্রথম মাঠে নামে লিওনেল স্কালোনির দল। গত শুক্রবার পানামাকে ২-০ গোলে হারানোর পর এবার তারা প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেয়নি। ম্যাচ শুরুর তৃতীয় মিনিটেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয় আর্জেন্টিনার। ডান দিক থেকে সতীর্থের গোলমুখে বাড়ানো বলে কেবল একটা টোকা দেওয়ার দরকার ছিল মার্টিনেজের, কিন্তু তালগোল পাকান তিনি।
১০ মিনিট পরই সেঞ্চুরি হয়ে যেতে পারত মেসির। তবে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান কিরাসাও গোলরক্ষক। পরের দুই মিনিটে আরও দুটি ভালো আক্রমণ করে র্যাংকিংয়ের দুই নম্বর দলটি; কিন্তু মার্টিনেজ কিংবা গঞ্জালেস, কেউ শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। মেসির শততম গোলের জন্য অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি। ২০তম মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর পাস বাঁ পায়ে ধরে বক্সে একজনের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজি তারকা।
তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারা। হেরমান পেস্সেইয়ার হেড গোললাইনে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বল হেডেই জালে পাঠান ফিওরেন্তিনা ফরোয়ার্ড গঞ্জালেস। প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণে ওঠার সুযোগই পাচ্ছিল না কিরাসাও। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আটকে রাখার কোনো উপায়ই যেন খুঁজে পাচ্ছিল না ফিফা র্যাংকিংয়ের ৮৬ নম্বর দলটি। পাঁচ মিনিটে আরও তিনবার জালে বল পাঠিয়ে বিশাল জয়ের দিকে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৩৩তম মিনিটে গঞ্জালেসের পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। চার মিনিট পর লো সেলসোর থ্রু বল দুই ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল নিচু শটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে ১৭৪ ম্যাচে ১০২ গোল করলেন মেসি। ওই দুই গোলের মাঝে এনসো ফার্নান্দেসের গোলেও জড়িয়ে মেসির নাম। তার ছোট কাটব্যাক পেয়েই বক্সের মুখ থেকে জোরালো শটে স্কোরলাইনে নাম লেখান চেলসি মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে মোট ১৫টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখা আর্জেন্টিনা বিরতির পরও আক্রমণাত্মক শুরু করে। তবে শুরুর তুলনায় তাদের খেলায় গতি কম ছিল। পাল্টা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে সফরকারীরা, যদিও সুবিধা করতে পারেনি তারা। ৫৪তম মিনিটে মার্তিনেজ এবং পরের মিনিটে গঞ্জালেস ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ৭১তম মিনিটে মেসির থ্রু বল বক্সে পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন গঞ্জালেস।
লো সেলসোর বদলি নামা দি মারিয়া ৭৮তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান আরও বাড়ান। তার শটেই বল বক্সে কুকো মার্তিনার হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। আর ৮৭তম মিনিটে দিবালার পাস পেয়ে শেষ গোলটি করেন মনতিয়েল। গ্যালারি ঠাসা সমর্থকদের উল্লাসে ভাসিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি-মার্টিনেজরা।
এবি