tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২১ মার্চ ২০২২, ১০:৫১ এএম

কিয়েভে শপিং ডিস্ট্রিক্টে হামলায় নিহত ৪


হামলা

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেশ কিছু আবাসিক ভবন এবং একটি শপিং ডিস্ট্রিক্টকে লক্ষ্য করে হামলার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২০ মার্চ) চালানো এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।


হামলায় প্রাথমিকভাবে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হলেও পরে সেটি বেড়ে কমপক্ষে চারজনে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। রাজধানী কিয়েভের জরুরি সেবা বিভাগের বরাত দিয়ে সোমবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া একটি পোস্টে রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে বিশাল আগুন ধরে যায় এবং উদ্ধারকর্মীরা এখনও সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

জরুরি সেবা বিভাগের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ছবিতে কিয়েভের একটি শপিংমলে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা যায়। তবে বিবিসি স্বাধীনভাবে এসব তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

এর আগে গত শনিবার কিয়েভের শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানীতে ২২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। এছাড়া কিয়েভ শহর প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আরও ৯১২ জন আহত হয়েছেন।

কিয়েভ শহর প্রশাসনের দাবি করা হতাহতের এই পরিসংখ্যান অবশ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

হামলা শুরুর তৃতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক আক্রমণ করে রুশ সামরিক বাহিনী। এতে করে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য প্রবল হামলার মুখেও কিয়েভে বেশ শক্ত প্রতিরোধের মুখেই পড়েছে রুশ বাহিনী।

বিপরীতে কিয়েভে হামলা আরও জোরদার করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোও এখন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলো।

এমআই