বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন ছাত্রশিবিরের
Share on:
বর্ণাঢ্য র্যালিসহ বিভিন্ন আয়োজনে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর, জেলা শাখাসমূহ দিবসটি উপলক্ষ্যে কেন্দ্র ঘোষিত নানা কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার (২৫মার্চ) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজনের মাধম্যে দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেন ।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে এবং অধিকার আদায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ ও বিজয় বিশ্ববাসীর জন্য অনন্য নজির। গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, ইনসাফ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ৯ মাসের দীর্ঘ সংগ্রাম, অগণিত মানুষের জীবন, রক্ত ও সীমাহীন ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। যুদ্ধে লাখো মানুষ শহীদ হলেও এদেশে পেয়েছিল পর্যাপ্ত মানব ও প্রাকৃতিক সম্পদ।
পেয়েছিল স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার সকল সক্ষমতা। কিন্তু আজ স্বাধীনতার এত বছর পর দেশে গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার বদলে দেশে চলছে স্বৈরতন্ত্র। স্বাধীন দেশের মানুষ আজ নীরব দুর্ভিক্ষের স্বীকার। রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলার এ দশার মুল কারণ আদর্শহীন নেতৃত্বের সীমাহীন দুর্নীতি আর বিভাজনের রাজনীতি। এর মাসুল দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। আর মহান স্বাধীনতাকে জনগণের কাছে অর্থহীন করে দিচ্ছে স্বাধীনতার যুদ্ধের একচ্ছত্র দাবিদারেরাই।
অপরদিকে এ অপশক্তি শুধু বর্তমানকেই ধ্বংস করছে না বরং আগামীর বাংলাদেশের সম্ভাবনাকেও ধ্বংসে মেতে উঠেছে। সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদে পরিকল্পিতভাবে জাতি গড়ার কারিগর আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে। এ জাতি বিনাশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, মাদক, নোংরা সংস্কৃতির প্রসার, নিজস্ব জাতিসত্ত্বা বিরোধী শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, ক্যাম্পাসে ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা এবং পরিকল্পিতভাবে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ফলে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে দেশপ্রেমিক জনগণ গভীরভাবে শঙ্কিত। সুতরাং স্বাধীনতার মান রক্ষা ও প্রত্যাশা পুরনে এ অবস্থার পরিবর্তন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এখন আরেকবার এক হয়ে লড়ার সময়ে এসেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বর্তমান অবৈধ সরকারের স্বৈরাচার ও অপশাসনই স্বাধীন বাংলার শেষ চিত্র নয়। দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদী সরকারের বাকশালী শাসনে চরমভাবে ক্ষুব্ধ। তারা স্বাধীনতার মত আরেকটি মুক্তির প্রহর গুনছে। সময়ের ব্যবধানে এ অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই হবে এবং সেই পরিবর্তনের তরুণ প্রজন্মই নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ।
জাতি আজ বুঝতে পারছে কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব নয়। বরং প্রয়োজন মানুষের গুণগত পরিবর্তন, যোগ্যতার বিকাশ ও ইসলামের ধাঁচে সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক নেতৃত্ব ও নাগরিক। আমরা সে লক্ষেই এগিয়ে চলেছি। হতাশা, বিভেদ বা শত্রুতা নয় বরং ঐক্যের ভিত্তিতে ছাত্রশিবির সোনালি বাংলাদেশ উপহার দিতে বদ্ধপরিকর ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, মহান স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা। মহানগর, শহর, জেলা ও থানা শাখায় র্যালি, আলোচনা সভা, টুর্ণামেন্টের আয়োজন, শিক্ষা সামগ্রী উপহার, ক্যাম্পাস পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ