মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রশিবিরের মাসব্যাপী কর্মসূচি
Share on:
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাজধানীর এক মিলনায়তনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসময় সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন- সকল প্রকার জুলুম উচ্ছেদ করে সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ৯ মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অসংখ্য শহীদের জীবনের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেখতে দেখতে প্রিয় দেশ অর্ধশত বছর অতিক্রম করেছে। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, আহত, ত্যাগী, পঙ্গুত্ববরণকারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এ দেশকে, এ দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের মানুষের হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নিশ্চিত করা এবং যোগ্য নেতৃত্ব ও নাগরিক উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মহান বিজয়ের ৫২তম বছরের এই দিনে ছাত্রশিবির দেশকে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখতে এবং অর্থবহ করতে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আজ আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন- ছাত্রশিবির মনে করে, দেশের নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্রসমাজকে যদি সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে তারাই আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে। প্রিয় বাংলাদেশ একটি চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
সীমাহীন দুর্নীতি, শিক্ষা বৈষম্য, মানবিক মর্যাদাহীনতা ও সাম্যের অভাবসহ সকল দিক থেকে আমরা একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে বসবাস করছি। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্যই ৫২ বছর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
আজও গণমানুষের অধিকার আদায় ও রক্ষায় সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিকরা যদি একইভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে বিজয় পূর্ণতা পাবে। এমন মূল্যবোধ লালন করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি ছাত্রশিবিরের সকল স্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাত্রশিবির কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়তে মেধা, জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিকাশকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে। জন্মলগ্ন থেকেই ছাত্রশিবির দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে :
- বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা।
- শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত।
- যুদ্ধাহত অসচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান।
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে যোগাযোগ।
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাউপকরণ বিতরণ।
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান।
- দরিদ্র ও মেধাবীদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান।
- রচনা, কুইজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
- অনাথ ও পথশিশুদের সাথে খাবার গ্রহণ।
- ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ফ্রি ব্লাড ডোনেশন প্রোগ্রাম।
- ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠের আসর ও দেয়ালিকা প্রকাশ।
- বিজয় সঙ্গীত ও ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ।
কেন্দ্রীয় সভাপতি সর্বোচ্চ দায়িত্বানুভূতি নিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
এন