ভারতে গিয়ে র'-এর সাথে বৈঠক করেছেন সাদ্দাম : নূর
Share on:
গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর অভিযোগ করেছেন যে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা র'-এর সাথে বৈঠক করেছেন। ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে শুক্রবার তিনি এই অভিযোগ করেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) টকশো’তে আলোচক হিসেবে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর এবং ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন৷
দেশের বাইরে কার কার সাথে দেখা করেছেন? ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন নুরুল হক নূরের কাছে এ কথা জানতে চান। দুবাইয়ে মেন্দি সাফাদি সভার বিষয়ে জানতে চান খালেদ। প্রশ্নের জবাবে নূর বলেন, তার সাথে কারো দেখা হয়নি। প্রবাসী অধিকার সংগঠন গতিশীল করতে গিয়েছিলেন, দাবি করেছেন নূর।
ওমান ও কাতারের রাজপরিবারের সাথে কথা হয়েছে জানান তিনি। রেজা কিবরিয়ার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে নূর বলেন, একটি ছবি সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হয়েছে। দল থেকে অপসারণের পর এটা রেগে গিয়ে বলছেন কিবরিয়া। গণঅধিকার পরিষদের ৮৭ সদস্য একমত যে রেজা কিবরিয়া দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
একক সিদ্ধান্তে রেজা কিবরিয়াকে নেয়া হয়েছিল- খালেদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা খারিজ করেন নূর।
সাদ্দাম হোসেনকে খালেদ তার গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, তার নিজের গাড়ি নেই। অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি তার আপুর গাড়ি ব্যবহার করছেন।
চেন্নাইয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচারের খরচের বিষয়টি খালেদ জানতে চাইলে সাদ্দাম জানান, সবমিলিয়ে ১০ লাখের কম খরচ হয়েছে। তার দাবি, এই অর্থ তার নয়। দলীয় নেতৃত্বের তরফেও সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেধাবী ছাত্র উচ্চশিক্ষা না করে আরেকটি স্নাতকোত্তর কেন, ছাত্রলীগের পদ কি সুবিধার? ডয়চে ভেলে বাংলার প্রধানের প্রশ্নের উত্তরে সাদ্দামের দাবি, রাজনীতি করেন আদর্শিক প্রেরণা থেকে। দেশ, জনগণের প্রয়োজনে ছাত্রদের তৈরি করাই লীগের লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করে ছাত্রলীগ? ছাত্রলীগ করার উদ্দেশ্য, সরকারি চাকরিতে ভালো সুযোগ?
সাদ্দাম এটা খারিজ করে বলেন, 'হাসিনা সরকার ১০০ ভাগ মেধাভিত্তিক চাকরি নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগ করা লাইফস্টাইলকে বেছে নেয়া।এখানকার কর্মী হওয়া গৌরবের কারণ এটা ভুঁইফোড় সংগঠন না। ছাত্রলীগ করা কর্মী প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, ক্যাবিনেটে আছেন। ছাত্রলীগ আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান।'
প্রবাস থেকে কী পরিমাণ টাকা গণঅধিকার পরিষদ পায়, জানতে চান খালেদ। নূর বলেন, সেটি অর্থ কমিটি জানে। আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের থেকে খালেদ ছাত্রলীগের অর্থের উৎস জানতে চান। সাদ্দামের কথায়, '২০ লাখ টাকা ব্যাংকে রয়েছে, ছাত্রদের চিকিৎসা সহায়তা, প্রকাশনা এসবও রয়েছে। কোটি শিক্ষার্থীর সাথে এটি সম্পৃক্ত। শুভাকাঙ্ক্ষীরাও চাঁদা দেন।'
দলের আয় ব্যয় নিয়ে কথা বললেই বৈরিতা? নূরের কাছে জানতে চান খালেদ। সাদ্দামের দাবি, 'নূরের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ নতুন না। রাশেদ খানও অভিযোগ এনেছিলেন।'
নূরের দাবি, দলে অর্থ কমিটি, অডিট কমিটি আছে। রেজা কিবরিয়ার স্বাক্ষর ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। সাদ্দামের দ্বিতীয় মাস্টার্স কোর্স নিয়ে অস্বচ্ছতার পাল্টা দাবি করেন তিনি। সাদ্দামের যুক্তি, 'ঢাবিতে আর পাঁচজনের মতোই শিক্ষা সম্পূর্ণ করেছি৷'
ডাকসু হামলা সাদ্দামের নেতৃত্বে এমন দাবি করেন নূর। সাদ্দামের পাল্টা দাবি, নূর আহত হওয়ার ভান করেছিলেন। নূরের বক্তব্য, আওয়ামী লীগের সাইবার সেল চাপ দিয়ে খবর করছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে৷
সাদ্দামের দাবি, গতানুগতিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সুযোগ করতে না পেরে গণঅধিকার পরিষদের মতো দল রাজনীতিকে ব্যবসা করতে চাইছে৷ মৌলবাদী সংগঠনের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে৷
নূর পাল্টা দাবি করেন যে ভারতে গিয়ে র'-এর সাথে মিটিং করেছেন সাদ্দাম৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে
এন