tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
স্বাস্থ্য প্রকাশনার সময়: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৫ পিএম

সরকার সারা বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করবে


4

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন সারা বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগে কয়েক মাস যেমন এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এখন ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হচ্ছে।


রোববার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করবো। তবে এই সময়গুলোতে পিক সিজন ও লিন সিজন ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ এডিসের জন্য একটি উর্বর সময়, অন্যটি অনুর্বর মৌসুম। আমরা সেই অনুসারে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিলিপাইনে ১৯ হাজার ৪০৪ জন, জানুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিয়েতনামে ১৫ হাজার ১২৯ জন, জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় ১৪ হাজার ৯৮৯ জন, মালয়েশিয়ায় জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩৮৮ জন, সিঙ্গাপুরে জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এই ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক ভালো অবস্থানে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। শহুরে এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আমাদের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। এখান থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়, তা বাস্তবায়ন করতে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। যে কারণে অন্য দেশগুলোর চেয়ে আমরা তুলনামূলক ভালো আছি।’

গত বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি ছিল, সে হিসাবে চলতি বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গত বছরেও সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো ছিল। কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। সে জন্য আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি আছে কি না, আরও কিছু করণীয় আছি কি না; তা খতিয়ে দেখতে এই সভা করা হয়েছে।

এ সময় মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘গত বছর যেহেতু আমরা দেখেছি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে আশ্বিন মাস এবং শীতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এ জন্য আমাদের কর্মপরিকল্পনা বছরব্যাপী করেছি। ডেঙ্গুরপ্রতিরোধী কার্যক্রমের সময় আমরা বাড়িয়েছি। আগে যেমন করা হতো, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র পর্যন্ত। এখন আমরা আশ্বিন মাস পর্যন্ত এটি বাড়িয়েছি।

এবি